ফেসবুক রিলস ভিডিও থেকে ইনকাম করতে চাইলে যে ভুল গুলো করবেন না

ফেসবুক রিলস ভিডিও ডাউনলোড করা সম্পর্কে আপনি কি জানেন জানেন না তো তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকের এই পোস্টটিতে আলোচনা করব ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন পলিসি এই সম্পর্কে এবং এবং তার সাথে ফেসবুক মনিটাইজেশন টুল সম্পর্কে সকল ধরনের তথ্য দিবো। 

ফেসবুক রিলস ভিডিও ডাউনলোড

ফেসবুক রিলস ভিডিও ডাউনলোড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটি  আপনার জন্য বেস্ট গাইডলাইন হতে পারে। কেননা আমি ফেসবুক রিলস ভাইরাল করার উপায় এবং ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করার সকল বিষয় সম্পর্কে জানাবো।

পোস্ট সূচিপত্রঃ

ফেসবুক রিলস ভিডিও ডাউনলোড করা শিখুন 

ফেসবুক রিলস ভিডিও ডাউনলোড করার পদ্ধতি নিয়ে অনেকের আগ্রহ দেখা যায়, কারণ এটি একটি জনপ্রিয় ফিচার যা ব্যবহারকারীদের ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করতে ও দেখতে সুযোগ দেয়। ফেসবুকের রিলস ভিডিও ডাউনলোড করার জন্য সরাসরি কোনো অফিশিয়াল অপশন নেই, তাই ব্যবহারকারীদের তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হয়। প্রথমে, ডাউনলোড করতে চাওয়া ভিডিওটির লিংক কপি করতে হয়। 

এটি করতে, ভিডিওর পাশে থাকা তিনটি ডট চিহ্নে ক্লিক করে 'কপি লিংক' অপশন নির্বাচন করতে হবে। এরপর, কোনো নির্ভরযোগ্য ফেসবুক রিলস ডাউনলোডার ওয়েবসাইট বা অ্যাপে গিয়ে সেই লিংক পেস্ট করতে হয় এবং ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করতে হয়। এখানে কয়েকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বা অ্যাপসের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে, যেমন SnapSave, GetfVid, এবং FBDown। এই ওয়েবসাইটগুলো সহজেই ব্যবহার করা যায় এবং সাধারণত দ্রুতগতিতে ভিডিও ডাউনলোড করতে সহায়তা করে। 

তবে, এসব সেবা ব্যবহার করার আগে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। প্রথমত, তৃতীয় পক্ষের ওয়েবসাইট ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত, কারণ কিছু ওয়েবসাইটে ম্যালওয়্যার থাকতে পারে যা ডিভাইসে ক্ষতি করতে পারে। দ্বিতীয়ত, ভিডিওর মালিকের অনুমতি ছাড়া ভিডিও ডাউনলোড করা বা ব্যবহার করা নৈতিকভাবে এবং আইনি ভাবে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। ফেসবুক রিলস ভিডিও ডাউনলোড করার আগে আরও একটি ব্যাপার বিবেচনা করতে হবে, সেটা হলো ডিভাইসের স্টোরেজ। 

ভিডিও ফাইলগুলো সাধারণত বড় আকারের হয়ে থাকে, তাই পর্যাপ্ত স্টোরেজ থাকা প্রয়োজন। এছাড়া, যেসব ভিডিও ডাউনলোড করা হয় সেগুলো কেবলমাত্র ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য রাখা উচিত এবং কোনোভাবে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা উচিত নয়। সবমিলিয়ে, ফেসবুকের রিলস ভিডিও ডাউনলোড করার বিষয়টি সহজ হলেও কিছু বিষয় খেয়াল রেখে নিরাপদ এবং সঠিকভাবে ব্যবহার করাই উত্তম। ফেসবুক রিলস ভিডিও ডাউনলোড করতে হলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন:

১. ভিডিও লিংক কপি করা:

  • ফেসবুক অ্যাপ বা ওয়েবসাইট থেকে রিলস ভিডিও খুলুন।
  • ভিডিওর উপর তিনটি ডট বা শেয়ার অপশন এ ক্লিক করুন।
  • "কপি লিংক" অপশনটি সিলেক্ট করুন।

২. অনলাইন ডাউনলোডার ব্যবহার করা:

  • একটি ব্রাউজার খুলুন এবং একটি ফেসবুক ভিডিও ডাউনলোডার ওয়েবসাইটে যান (যেমন, fbdown.net বা getfvid.com)।
  • কপি করা লিংকটি সাইটের সার্চ বক্সে পেস্ট করুন।
  • "ডাউনলোড" বাটনে ক্লিক করুন।

৩. ভিডিও ডাউনলোড করা:

  • সাইটটি আপনাকে বিভিন্ন ফরম্যাটে ডাউনলোডের অপশন দিবে। আপনার পছন্দমত ফরম্যাট নির্বাচন করুন।
  • ফরম্যাট নির্বাচন করার পর ডাউনলোড প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং ভিডিওটি আপনার ডিভাইসে সেভ হবে।

এভাবে আপনি সহজেই ফেসবুক রিলস ভিডিও ডাউনলোড করতে পারবেন।

ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন পলিসি গুলো দেখুন  

ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন পলিসি ফেসবুক রিলস হলো একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও ফরম্যাট যা ব্যবহারকারীদের সংক্ষিপ্ত ভিডিও তৈরি এবং শেয়ার করার সুযোগ দেয়। ফেসবুকের রিলস মনিটাইজেশন পলিসি হলো এমন কিছু নীতিমালা এবং শর্তাবলী যা ব্যবহারকারীদের তাদের রিলস ভিডিও থেকে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ দেয়। এই নীতিমালাগুলি অনুসরণ করে, কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের ভিডিওগুলিকে মনিটাইজ করে আয়ের উৎস হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন পলিসি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা নিম্নে দেওয়া হলো:

১. যোগ্যতা:
  • ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা পূরণ করতে হয়। কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ফলোয়ার, ভিডিও ভিউ, এবং এনগেজমেন্টের মাত্রা থাকতে হয়। এছাড়া, ক্রিয়েটরদের একটি সক্রিয় ফেসবুক পেজ বা প্রোফাইল থাকতে হবে যা নিয়মিতভাবে আপডেট হয়।
২. কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড এবং কনটেন্ট পলিসি:
  • ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড এবং কনটেন্ট পলিসি মেনে চলা বাধ্যতামূলক। কোনো ধরনের আপত্তিকর, অশ্লীল, বিদ্বেষপূর্ণ বা সহিংস কনটেন্ট রিলসে আপলোড করা যাবে না। ক্রিয়েটরদের কনটেন্ট অবশ্যই সঠিক এবং বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে।
৩. অরিজিনাল কনটেন্ট:
  • ফেসবুক রিলসে মনিটাইজ করার জন্য কনটেন্ট অবশ্যই অরিজিনাল হতে হবে। অন্য কারো কনটেন্ট কপি করে আপলোড করলে তা মনিটাইজেশনের জন্য বিবেচিত হবে না। কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের নিজস্ব সৃজনশীলতা এবং কল্পনাশক্তি ব্যবহার করে ভিডিও তৈরি করতে হবে।
৪. এড ব্রেকস:
  • ফেসবুক রিলসে এড ব্রেকস ব্যবহার করা হয় যার মাধ্যমে ভিডিওর মাঝখানে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। এই বিজ্ঞাপনগুলি থেকে প্রাপ্ত আয়ের একটি অংশ ক্রিয়েটরদের দেয়া হয়। তবে, এড ব্রেকস ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়, যেমন ভিডিওর দৈর্ঘ্য এবং ভিউয়ের সংখ্যা।
৫. ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট:
  • ক্রিয়েটররা ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট ব্যবহার করে তাদের আয় বাড়াতে পারেন। ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট হলো এমন কনটেন্ট যা কোনো ব্র্যান্ড বা পণ্যের প্রচারণার জন্য তৈরি করা হয়। এই ধরনের কনটেন্ট তৈরি করার সময় ফেসবুকের ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট পলিসি অনুসরণ করতে হবে এবং স্পন্সরশিপ বা পার্টনারশিপের তথ্য সঠিকভাবে প্রকাশ করতে হবে।
৬. পেমেন্ট এবং ট্যাক্সেশন:
  • ফেসবুক রিলস থেকে আয় করার জন্য ক্রিয়েটরদের একটি বৈধ পেমেন্ট অ্যাকাউন্ট সেট আপ করতে হবে। পেমেন্ট প্রক্রিয়াটি সাধারণত মাসিক ভিত্তিতে সম্পন্ন হয় এবং নির্দিষ্ট একটি থ্রেশহোল্ড অতিক্রম করতে হবে। এছাড়া, আয়ের উপর নির্ভর করে ট্যাক্সেশন প্রক্রিয়াও প্রযোজ্য হতে পারে।
৭. নীতিমালা লঙ্ঘনের পরিণতি:
  • যদি কোনো ক্রিয়েটর ফেসবুকের মনিটাইজেশন পলিসি বা কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘন করেন, তাহলে তার অ্যাকাউন্ট বা কনটেন্ট মনিটাইজেশন সুবিধা বাতিল করা হতে পারে। ফেসবুক এ বিষয়ে সতর্ক এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে।
ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন পলিসি কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য একটি চমৎকার সুযোগ প্রদান করে তাদের সৃজনশীলতাকে আয়ের উৎসে পরিণত করার। তবে, এই নীতিমালা এবং শর্তাবলী মেনে চলা আবশ্যক যাতে ফেসবুক প্ল্যাটফর্মের মান এবং নিরাপত্তা বজায় থাকে। কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের উচিত ফেসবুকের নির্দেশিকা অনুসরণ করে দায়িত্বশীলভাবে কনটেন্ট তৈরি এবং শেয়ার করা, যাতে তারা সাফল্যের সাথে তাদের রিলস ভিডিও থেকে আয় করতে পারেন।

ফেসবুক মনিটাইজেশন টুল গুলো দেখুন   

ফেসবুক মনিটাইজেশন টুল ফেসবুকের মনিটাইজেশন টুলগুলি কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম যা তাদের কনটেন্ট থেকে আয় করতে সহায়তা করে। এই টুলগুলি ব্যবহার করে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট যেমন ভিডিও, লাইভ স্ট্রিম, আর্টিকেল, এবং আরো অনেক কিছু থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। ফেসবুকের কিছু প্রধান মনিটাইজেশন টুল সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১. ইন-স্ট্রিম এডস (In-Stream Ads):
  • ইন-স্ট্রিম এডস হলো ভিডিওর মাঝখানে দেখানো বিজ্ঞাপন যা দর্শকদের ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতাকে বাধাগ্রস্ত না করেই প্রদর্শিত হয়। এই বিজ্ঞাপনগুলি থেকে প্রাপ্ত আয়ের একটি অংশ ভিডিও ক্রিয়েটরকে প্রদান করা হয়। ইন-স্ট্রিম এডস ব্যবহারের জন্য ভিডিওর দৈর্ঘ্য এবং ভিউয়ের নির্দিষ্ট মান পূরণ করতে হয়।
২. ফ্যান সাবস্ক্রিপশন (Fan Subscriptions):
  • ফ্যান সাবস্ক্রিপশন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে ভক্তরা মাসিক ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সমর্থন করতে পারেন। সাবস্ক্রাইবাররা সাধারণত বিশেষ কিছু সুবিধা পান যেমন এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট, ব্যাজ, এবং ব্যক্তিগত যোগাযোগের সুযোগ।
৩. ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট (Branded Content):
  • ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট হলো এমন কনটেন্ট যা কোনো ব্র্যান্ড বা পণ্যের প্রচারণার জন্য তৈরি করা হয়। এই ধরনের কনটেন্ট তৈরি করার সময় ক্রিয়েটরদের স্পন্সরশিপ বা পার্টনারশিপের তথ্য সঠিকভাবে প্রকাশ করতে হয়। ফেসবুকের ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট টুল ব্যবহার করে ক্রিয়েটররা তাদের স্পন্সরশিপ ডিলগুলিকে সহজে পরিচালনা করতে পারেন।
৪. স্টারস (Stars):
  • ফেসবুক লাইভ স্ট্রিমিং এর সময় দর্শকরা ক্রিয়েটরদেরকে "স্টারস" পাঠাতে পারেন, যা একটি ভার্চুয়াল উপহার। প্রতিটি স্টারের জন্য ক্রিয়েটররা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পান। এটি লাইভ স্ট্রিমিং কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য একটি চমৎকার আয়ের উৎস হতে পারে।
৫. ফেসবুক শপ (Facebook Shop):
  • ফেসবুক শপ হলো একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবসায়ীদেরকে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে তাদের পণ্য বিক্রি করার সুযোগ দেয়। কনটেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের নিজের পণ্য তৈরি করে বা অন্যান্য ব্র্যান্ডের সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমে ফেসবুক শপের মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
৬. এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing):
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি পদ্ধতি যেখানে ক্রিয়েটররা কোনো পণ্য বা সেবার প্রচারণা করে এবং সেই পণ্য বা সেবার বিক্রি থেকে একটি কমিশন পান। ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ, পেজ, এবং প্রোফাইলের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়।
ফেসবুক মনিটাইজেশন টুলগুলি কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের তাদের সৃজনশীলতাকে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে পরিণত করার অসংখ্য সুযোগ প্রদান করে। এই টুলগুলি ব্যবহার করে ক্রিয়েটররা তাদের দর্শকদের সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন এবং তাদের কনটেন্ট থেকে দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জন করতে পারেন। ফেসবুকের মনিটাইজেশন টুলগুলি ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট কিছু শর্ত এবং নীতিমালা মেনে চলা আবশ্যক, যা কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য একটি নিরাপদ এবং মানসম্পন্ন প্ল্যাটফর্ম নিশ্চিত করে।

ফেসবুক রিলস ভাইরাল করার উপায় গুলো জানুন  

ফেসবুক রিলস ভাইরাল করার উপায় হলো ফেসবুক রিলস ভাইরাল করার জন্য কিছু কার্যকর কৌশল অবলম্বন করতে হবে। এই কৌশলগুলি আপনার কনটেন্টকে আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে এবং তাদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করতে সহায়তা করবে। নিচে ফেসবুক রিলস ভাইরাল করার কয়েকটি উপায় উল্লেখ করা হলো: 
ফেসবুক রিলস ভাইরাল করার উপায়
১. আকর্ষণীয় এবং সংক্ষিপ্ত কনটেন্ট তৈরি করুন
  • ফেসবুক রিলস সাধারণত ১৫-৩০ সেকেন্ডের হয়। এই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে আপনাকে দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে হবে। আকর্ষণীয়, বিনোদনমূলক এবং তথ্যবহুল কনটেন্ট তৈরি করার চেষ্টা করুন যা দর্শকদের ভিডিওটি পুরোপুরি দেখার জন্য উদ্বুদ্ধ করবে।
২. ট্রেন্ড এবং চ্যালেঞ্জ অনুসরণ করুন
  • ফেসবুকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ট্রেন্ড এবং চ্যালেঞ্জ চলে। এই ট্রেন্ডগুলি অনুসরণ করে কনটেন্ট তৈরি করলে আপনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। জনপ্রিয় ট্রেন্ড এবং চ্যালেঞ্জগুলি খুঁজে বের করে সেগুলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কনটেন্ট তৈরি করুন।
৩. উচ্চ মানের ভিডিও তৈরি করুন
  • ভিডিওর গুণগত মান অনেক গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ রেজোলিউশনের ভিডিও, পরিষ্কার অডিও, এবং ভাল এডিটিং আপনার ভিডিওকে পেশাদার এবং আকর্ষণীয় করে তুলবে। ভালো মানের ভিডিও দর্শকদের মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়ক।
৪. সঠিক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন
  • হ্যাশট্যাগ ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার কনটেন্টকে আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব। প্রাসঙ্গিক এবং জনপ্রিয় হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন যা আপনার ভিডিওর বিষয়বস্তু এবং ট্রেন্ডের সাথে সম্পর্কিত।
৫. নিয়মিত আপডেট রাখুন
  • নিয়মিতভাবে রিলস আপলোড করুন। ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে দর্শকরা আপনার কনটেন্টের প্রতি আগ্রহী থাকবে এবং আপনার ফলোয়ার বাড়বে। প্রতি সপ্তাহে অন্তত কয়েকটি নতুন রিলস আপলোড করার চেষ্টা করুন।
৬. কল্যাবরেশন করুন
  • অন্যান্য কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সাথে কল্যাবরেশন করুন। এটি আপনার কনটেন্টকে নতুন দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করবে এবং আপনার ভিডিওর ভিউ এবং এনগেজমেন্ট বাড়াবে।
৭. কনটেন্টে এনগেজমেন্ট বাড়ান
  • দর্শকদেরকে আপনার ভিডিওতে মন্তব্য করতে, লাইক দিতে এবং শেয়ার করতে উদ্বুদ্ধ করুন। আপনি আপনার ভিডিওতে প্রশ্ন করতে পারেন বা দর্শকদের মতামত জানতে চাইতে পারেন। এনগেজমেন্ট বাড়ালে আপনার ভিডিওর রিচ এবং ভিউ বাড়বে।
৮. সঠিক সময়ে পোস্ট করুন
  • আপনার দর্শকদের অধিকাংশ সময় কোন সময়ে সক্রিয় থাকে তা নির্ণয় করে সেই সময়ে রিলস পোস্ট করুন। সঠিক সময়ে পোস্ট করলে আপনার ভিডিও বেশি দর্শকের কাছে পৌঁছাবে।
৯. থাম্বনেইল এবং টাইটেলে মনোযোগ দিন
  • আকর্ষণীয় থাম্বনেইল এবং টাইটেল ব্যবহার করুন যা দর্শকদের কনটেন্ট দেখতে উদ্বুদ্ধ করবে। ভিডিওর প্রথম কয়েক সেকেন্ডে আকর্ষণীয় কিছু রাখার চেষ্টা করুন যাতে দর্শকরা ভিডিওটি স্ক্রল করে না চলে যায়।
১০. অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করুন
  • ফেসবুকের ইনসাইট এবং অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে আপনার ভিডিওগুলির পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করুন। কোন ধরনের কনটেন্ট বেশি ভিউ এবং এনগেজমেন্ট পাচ্ছে তা বুঝে সেই অনুযায়ী কনটেন্ট তৈরি করুন।
ফেসবুক রিলস ভাইরাল করার উপায় হলো কৌশলগুলি অনুসরণ করে আপনি ফেসবুক রিলসের মাধ্যমে আপনার কনটেন্টকে ভাইরাল করার সুযোগ বাড়াতে পারেন। ধারাবাহিকভাবে মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি এবং দর্শকদের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকার মাধ্যমে আপনি ফেসবুকে একটি শক্তিশালী উপস্থিতি তৈরি করতে পারবেন।

ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করুন  

ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি এবং শর্তাবলী রয়েছে যা অনুসরণ করতে হয়। নিচে বিস্তারিতভাবে কিভাবে ফেসবুকের রিলস থেকে ইনকাম করা যায় তা উল্লেখ করা হলো:

১. ইন-স্ট্রিম এডস (In-Stream Ads)
যোগ্যতা:
  • ইন-স্ট্রিম এডস ব্যবহার করার জন্য আপনাকে ফেসবুকের নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। যেমন, একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ফলোয়ার থাকা, ভিডিও ভিউ, এবং এনগেজমেন্ট লেভেল।
পদ্ধতি:
  • ভিডিওর মাঝখানে বা শেষে বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয়।
  • দর্শকরা আপনার ভিডিও দেখার সময় এই বিজ্ঞাপনগুলি দেখেন।
  • বিজ্ঞাপনগুলি থেকে প্রাপ্ত আয়ের একটি অংশ আপনাকে প্রদান করা হয়।
২. ফ্যান সাবস্ক্রিপশন (Fan Subscriptions)
যোগ্যতা:
  • ফ্যান সাবস্ক্রিপশন সক্রিয় করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে যেমন, একটি সক্রিয় এবং নিয়মিত আপডেটেড পেজ বা প্রোফাইল।
পদ্ধতি:
  • আপনার ফ্যানরা মাসিক ভিত্তিতে সাবস্ক্রিপশন ফি প্রদান করে।
  • সাবস্ক্রাইবাররা বিশেষ কিছু সুবিধা পান যেমন এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট, ব্যাজ, এবং সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ।
  • এই সাবস্ক্রিপশন ফি থেকে আপনি আয় করেন।
৩. ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট (Branded Content)
যোগ্যতা:
  • ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট তৈরি করতে হলে আপনার কনটেন্টকে উচ্চমানের এবং আকর্ষণীয় হতে হবে যাতে ব্র্যান্ডগুলো আপনার সাথে কাজ করতে আগ্রহী হয়।
পদ্ধতি:
  • ব্র্যান্ড বা পণ্যগুলির প্রচারণার জন্য স্পন্সরড কনটেন্ট তৈরি করুন।
  • ব্র্যান্ডের সাথে চুক্তি অনুযায়ী আপনি অর্থ উপার্জন করবেন।
  • ফেসবুকের ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট টুল ব্যবহার করে স্পন্সরশিপ ডিলগুলি পরিচালনা করতে পারেন।
৪. স্টারস (Stars)
যোগ্যতা:
  • ফেসবুক লাইভ স্ট্রিমিং সক্রিয় করতে হবে এবং দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হতে হবে।
পদ্ধতি:
  • লাইভ স্ট্রিমিং এর সময় দর্শকরা আপনাকে "স্টারস" পাঠাতে পারেন।
  • প্রতিটি স্টারের জন্য আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পান।
  • ফেসবুক স্টারস সিস্টেম ব্যবহার করে লাইভ স্ট্রিমিং থেকে আয় করতে পারেন।
৫. ফেসবুক শপ (Facebook Shop)
যোগ্যতা:
  • ফেসবুক পেজে শপ ফিচার সক্রিয় করতে হবে এবং প্রোডাক্ট লিস্টিং আপলোড করতে হবে।
পদ্ধতি:
  • ফেসবুক শপের মাধ্যমে আপনার পণ্য বিক্রি করতে পারেন।
  • দর্শকরা আপনার শপ থেকে পণ্য কিনলে আপনি আয় করবেন।
৬. এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)
যোগ্যতা:
  • এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শর্তাবলী পূরণ করতে হবে।
পদ্ধতি:
  • এফিলিয়েট লিঙ্ক ব্যবহার করে পণ্য বা সেবা প্রচার করুন।
  • দর্শকরা সেই লিঙ্ক থেকে কিনলে আপনি কমিশন পাবেন।
ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করার উপায়গুলি ব্যবহার করে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের সৃজনশীলতা এবং দক্ষতা কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। প্রতিটি পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা এবং শর্তাবলী রয়েছে যা মেনে চলা আবশ্যক। নিয়মিত এবং মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করে, দর্শকদের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থেকে এবং ফেসবুকের বিভিন্ন মনিটাইজেশন টুলগুলি ব্যবহার করে আপনি ফেসবুক রিলস থেকে সফলভাবে ইনকাম করতে পারেন।

ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন সম্পর্কে জানুন 

ফেসবুকের রিলস মনিটাইজেশন করতে চাইলে কিছু নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করতে হবে। নিচে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো: 
ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন

১. যোগ্যতা যাচাই

কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য যোগ্যতার শর্তাবলী:
  • আপনার একটি ফেসবুক পেজ বা প্রোফাইল থাকতে হবে।
  • আপনার পেজে কমপক্ষে ১০,০০০ ফলোয়ার থাকতে হবে।
  • আপনার ভিডিওগুলিতে গত ৬০ দিনে কমপক্ষে ৩০,০০০ ১-মিনিট ভিউ থাকতে হবে।
  • আপনার পেজ বা প্রোফাইল ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড এবং মনিটাইজেশন নীতিমালা মেনে চলতে হবে।

২. ইন-স্ট্রিম এডস সক্রিয় করা

ধাপ ১: ফেসবুক পেজ সেটআপ করুন
  • আপনার যদি একটি ফেসবুক পেজ না থাকে তবে একটি নতুন পেজ তৈরি করুন।
  • পেজের সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন।
ধাপ ২: ইন-স্ট্রিম এডস ম্যানেজার অ্যাক্সেস করুন
  • আপনার ফেসবুক পেজে লগ ইন করুন।
  • পেজ সেটিংসে যান এবং "মনিটাইজেশন" ট্যাবে ক্লিক করুন।
  • ইন-স্ট্রিম এডসের জন্য যোগ্যতা যাচাই করুন।
ধাপ ৩: এডস অ্যাকাউন্ট সেটআপ করুন
  • যোগ্যতা পাস করলে, আপনার এডস অ্যাকাউন্ট সেটআপ করুন।
  • পেমেন্ট পদ্ধতি এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তথ্য প্রদান করুন।

৩. কনটেন্ট তৈরি এবং আপলোড করা

ধাপ ১: রিলস ভিডিও তৈরি করুন
  • সংক্ষিপ্ত এবং আকর্ষণীয় ভিডিও তৈরি করুন যা দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করবে।
  • ভিডিওর গুণগত মান উচ্চ রাখুন এবং সঠিক এডিটিং করুন।
ধাপ ২: হ্যাশট্যাগ এবং ক্যাপশন ব্যবহার করুন
  • প্রাসঙ্গিক এবং জনপ্রিয় হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন।
  • ভিডিওর জন্য একটি আকর্ষণীয় ক্যাপশন লিখুন যা দর্শকদের আকর্ষিত করবে।
ধাপ ৩: ভিডিও আপলোড করুন
  • ফেসবুক রিলস সেকশনে ভিডিও আপলোড করুন।
  • ইন-স্ট্রিম এডস সক্রিয় থাকলে ভিডিওর মাঝখানে বা শেষে বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হবে।

৪. ফ্যান সাবস্ক্রিপশন

ধাপ ১: ফ্যান সাবস্ক্রিপশন সক্রিয় করুন
  • ফেসবুক পেজ সেটিংসে যান এবং "মনিটাইজেশন" ট্যাবে ক্লিক করুন।
  • ফ্যান সাবস্ক্রিপশন সক্রিয় করার জন্য যোগ্যতা যাচাই করুন।
ধাপ ২: সাবস্ক্রিপশন সুবিধা নির্ধারণ করুন
  • সাবস্ক্রাইবারদের জন্য বিশেষ সুবিধা এবং কনটেন্ট অফার করুন।
  • সাবস্ক্রাইবার ব্যাজ, এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট, এবং সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ দিন।

৫. ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট

ধাপ ১: ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট তৈরি করুন
  • ব্র্যান্ড বা পণ্যের সাথে স্পন্সরশিপ ডিল করুন।
  • ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট টুল ব্যবহার করে স্পন্সরশিপ পোস্ট তৈরি করুন।
ধাপ ২: ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট প্রকাশ করুন
  • ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট পোস্ট করুন এবং স্পন্সরশিপের তথ্য সঠিকভাবে উল্লেখ করুন।

৬. স্টারস

ধাপ ১: স্টারস ফিচার সক্রিয় করুন
  • ফেসবুক পেজ সেটিংসে যান এবং "মনিটাইজেশন" ট্যাবে ক্লিক করুন।
  • স্টারস ফিচার সক্রিয় করার জন্য যোগ্যতা যাচাই করুন।
ধাপ ২: লাইভ স্ট্রিমিং করুন
  • লাইভ স্ট্রিমিং শুরু করুন এবং দর্শকদের স্টারস পাঠাতে উদ্বুদ্ধ করুন।

৭. পেমেন্ট সেটআপ

ধাপ ১: পেমেন্ট সেটআপ করুন
  • ফেসবুকের পেমেন্ট সেটিংসে যান এবং আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তথ্য প্রদান করুন।
ধাপ ২: পেমেন্ট গ্রহণ করুন
  • ফেসবুক থেকে আপনার উপার্জিত অর্থ মাসিক ভিত্তিতে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
ফেসবুকের রিলস থেকে ইনকাম করার জন্য এই ধাপগুলি অনুসরণ করে আপনি আপনার কনটেন্ট থেকে আয় করতে পারেন। নিয়মিত মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করা, দর্শকদের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকা এবং ফেসবুকের মনিটাইজেশন টুলগুলি সঠিকভাবে ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সফলভাবে ইনকাম করতে হলে ফেসবুকের সমস্ত নীতিমালা এবং শর্তাবলী মেনে চলা আবশ্যক।

ফেসবুক রিলস বন্ধ করার উপায় গুলো দেখুন  

ফেসবুক রিলস বন্ধ করার উপায় ফেসবুক রিলস হলো ফেসবুকের একটি ফিচার যা ব্যবহারকারীদের সংক্ষিপ্ত ভিডিও তৈরি এবং শেয়ার করার সুযোগ দেয়। অনেক ব্যবহারকারী এই ফিচারটি পছন্দ করেন, তবে কিছু ব্যবহারকারী ফেসবুক রিলস দেখতে পছন্দ করেন না বা এই ফিচারটি বন্ধ করতে চান। ফেসবুক রিলস সরাসরি বন্ধ করার জন্য নির্দিষ্ট কোন অপশন না থাকলেও, কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে রিলস ফিড থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারেন। নিচে ফেসবুক রিলস বন্ধ বা হাইড করার কিছু পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো:

১. রিলস ফিড থেকে পোস্ট হাইড করা
আপনি ফেসবুক রিলস ফিড থেকে নির্দিষ্ট পোস্ট বা কনটেন্ট হাইড করতে পারেন। এজন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করুন:
  • ফেসবুক অ্যাপে লগ ইন করুন।
  • আপনার ফিডে যে রিলস ভিডিওটি দেখতে চান না সেটির উপর ক্লিক করুন।
  • ভিডিওর উপরে ডানদিকে তিনটি ডট আইকন (•••) ক্লিক করুন।
  • মেনু থেকে "Hide" বা "See less of this" অপশনটি সিলেক্ট করুন।
২. রিলস ভিডিওর নোটিফিকেশন বন্ধ করা
ফেসবুক রিলস ভিডিওর নোটিফিকেশন বন্ধ করতে পারেন যাতে আপনাকে আর নতুন রিলস ভিডিওর নোটিফিকেশন না দেয়:
  • ফেসবুক অ্যাপ খুলুন এবং সেটিংসে যান।
  • "Notifications" অপশন সিলেক্ট করুন।
  • "Video" বা "Reels" নোটিফিকেশন সেটিংসে যান।
  • নোটিফিকেশন বন্ধ করতে টগল সুইচটি অফ করুন।
৩. রিলস পোস্ট করা বন্ধ করা
যদি আপনি নিজে রিলস পোস্ট করতে না চান, তবে আপনার পেজ বা প্রোফাইল থেকে রিলস পোস্ট করা বন্ধ করতে পারেন:
  • ফেসবুক অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে লগ ইন করুন।
  • আপনার প্রোফাইল বা পেজে যান।
  • "Create post" বা "Create Reels" অপশনটি এড়িয়ে যান এবং অন্যান্য কনটেন্ট পোস্ট করুন।
৪. ফেসবুক অ্যাপ আপডেট করা
কখনও কখনও ফেসবুক অ্যাপের আপডেটের ফলে নতুন ফিচার বা পরিবর্তন আসে। যদি আপনি রিলস ফিচারটি পছন্দ না করেন, তবে আপডেট না করার চেষ্টা করতে পারেন। তবে, এটি সবসময় কার্যকর নাও হতে পারে কারণ ফেসবুক স্বয়ংক্রিয়ভাবে নতুন ফিচারগুলি রোল আউট করে।

৫. বিকল্প অ্যাপ ব্যবহার
যদি ফেসবুক রিলস ফিচারটি আপনার জন্য খুবই বিরক্তিকর হয়, তবে আপনি বিকল্প অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। কিছু তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ রয়েছে যা ফেসবুকের কিছু ফিচার কাস্টমাইজ করতে দেয়। তবে, এই ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে কারণ এগুলি আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে।

৬. ফিড কাস্টমাইজ করা
ফেসবুকের ফিড কাস্টমাইজ করার কিছু অপশন রয়েছে যা আপনি ব্যবহার করতে পারেন:
  • আপনার ফ্রেন্ড লিস্ট এবং ফলো পেজগুলি পর্যালোচনা করুন এবং যাদের রিলস ভিডিও পছন্দ না, তাদের আনফলো করুন বা মিউট করুন।
  • ফেসবুকের "News Feed Preferences" থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী কনটেন্ট কাস্টমাইজ করুন।
ফেসবুক রিলস বন্ধ করার উপায় নির্দিষ্ট অপশন নেই, তবে উপরোক্ত পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করে আপনি রিলস ফিড থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারেন। আপনার ফিড কাস্টমাইজ করা, নোটিফিকেশন বন্ধ করা এবং নির্দিষ্ট কনটেন্ট হাইড করা এই সমস্যার কিছু সমাধান হতে পারে। নিয়মিত ফেসবুক অ্যাপের সেটিংস পর্যালোচনা করে আপনি আপনার অভিজ্ঞতাকে আরো ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।

লেখকের মন্তব্য

আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা জানিয়েছি ফেসবুক রিলস ভিডিও ডাউনলোড এবং ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন পলিসি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। আজকের এই পোস্টি পড়ার পর আসা করি আপনাদের ফেসবুক রিলস ভাইরাল করার উপায় এবং ফেসবুক রিলস বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে না জানা আর কিছু থাকতে পারে না। কেননা আমি ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম সম্পর্কে সকল বিষয় বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি এবং আপনাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেফেসবুক মনিটাইজেশন টুলগুলোর অনেক তথ্য দিয়েছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নিউয়েস্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url